।।ডক্টর’স চেম্বার প্রতিবেদন।।
শিশুর ত্বক থাকে কোমল। সংবেদনশীল এ ত্বক কিছু সময় ধরে অথবা বারবার প্রস্রাব ও পায়খানার সংস্পর্শে এলে আর্দ্রতার কারণে ত্বকের তৈলাক্ত প্রাকৃতিক স্তরের প্রতিরোধ ভেঙে যায়। এতে ত্বকে এক ধরনের লালাভ চাকার মতো হয়ে ফুলে ওঠে বা ফুসকুড়ির মতো দেখা যায়। এ ধরনের সমস্যাকে আমরা র্যাশ বলে থাকি।
ডা. নাঈমা সুলতানা বলেন, ডায়াপার র্যাশ দ্রুত সেরে উঠবে যদি আক্রান্ত স্থানে খোলা বাতাস লাগতে দেওয়া যায়। এজন্য ডায়াপার বদলে স্থানটি পরিষ্কার করার পর অন্তত ১০-১৫ মিনিট ডায়াপারহীন অবস্থায় শিশুকে রাখতে হবে। এরপরও র্যাশ অস্বস্তির উদ্রেক করলে ‘সিজবাথ’ করতে হবে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা সঞ্চয়ে সাহায্য করবে। এতে র্যাশ দ্রুত সেরে উঠবে। সিজবাথ হচ্ছে একটি বড় গামলা বা টাবে কয়েক ইঞ্চি সহ্যকর হালকা গরম পানির মধ্যে নিতম্ব ডুবিয়ে বসিয়ে রাখা। শিশুকে এভাবে খেলনা দিয়ে সিজবাথে বসিয়ে রাখতে হবে। প্রতিটি সিজবাথের সময় ৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে। এতে কিছুটা উপকার অবশ্যই হবে। ডায়াপার খুব টাইট হলে দুই উরুর কাছে ইলাস্টিকটা কেটে দিতে পারেন। এতে ডায়াপার ঢিলে হবে। ডায়াপার ঢিলে হলে ভেতরে বাতাস থাকে। এটিও র্যাশ হওয়া থেকে রক্ষা করে। আর ডায়াপার কেনার সময় এর শোষণক্ষমতা, আরামদায়ক ও লিকপ্রুফ কিনা দেখে নিতে হবে।
এসএফ