বকেয়া পড়ে আছে প্রায় ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, সে কারণে তারা পূর্ণ গতিতে কাজ চালিয়ে যেতে পারছে না।
।।বঙ্গকথন প্রতিবেদন।।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে তহবিল সংকট দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি)। তারা বলছে, গত সাত মাসে তারা কোনো কাজের বিল পায়নি। বকেয়া পড়ে আছে প্রায় ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সে কারণে তারা পূর্ণ গতিতে কাজ চালিয়ে যেতে পারছে না। তবে প্রকল্প পরিচালক বলছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি ঠিক নয়। তারা অত টাকা পাবে না। তাছাড়া সব কাজকর্ম ঠিকঠাক মতো চলছে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প (পিবিআরএলপি) বর্তমানে দেশের অন্যতম মেগা ফাস্ট-ট্র্যাক প্রকল্প। সরকার রেলপথসহ একই দিনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে চায়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি অনুযায়ী, তহবিলের অভাবে কাজে ধীর গতি চলছে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা নিয়ে তারা চিন্তিত।
বকেয়া মোট অর্থের পরিমাণ প্রায় ৪শ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। এমতাবস্থায়, প্রকল্পের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী কেনা এবং সাবকন্ট্রাকটর ও সাপ্লায়ারদেরকে সময়মতো তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা সিআরইসির জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতিও কমে এসেছে। সিআরইসির মতে, ২০২০ সালের জুলাইয়ের মধ্যে তাদের ১০০ কোচ সরবরাহের কথা থাকলেও বাংলাদেশ রেলওয়ে এখনো পর্যন্ত কোচগুলো নির্মাণের কোনো নির্দেশনা দেয়নি।
সিআরইসির পক্ষ থেকে একাধিকবার বাংলাদেশ রেলওয়েকে জানানো হয়েছে, এই কোচগুলো নির্মিত ও হস্তান্তর হতে দুই বছর সময় লাগবে। তবে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন এ চৌধুরী বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ৪০ কোটি ডলার পাবে এমন তথ্য ঠিক নয়। তাদের দাবি ভুল। প্রকল্পের অগ্রগতিসহ সব কিছু ঠিক মতো চলছে।