।।বঙ্গকথন প্রতিবেদন।।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে আজ রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব মা দিবস। ১৯১৪ সালে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। দিনটি সামনে রেখে বিভিন্ন পেশার কয়েকজন মায়ের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেল, তাঁদের কাজের চাপ ও সন্তান নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। করোনাকালে সন্তানকে ঘরে রেখে কর্মজীবী মায়েরা যেমন চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন, তেমনি ঝুঁকি নিয়ে জরুরি বিভিন্ন সেবা দিতেও কাজ করছেন তাঁরা। অবশ্য এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। তাই মায়েদের ওপর নানা ধরনের মানসিক প্রভাব পড়ছে।
করোনার ভয়ে সন্তানকে সময় দিতে হচ্ছে মেপে মেপে, নানা সতর্কতা মেনে। ঘরে ফিরতেই শিশুসন্তান মাকে জড়িয়ে ধরবে, তা হচ্ছে না। রাজধানীর পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইশরাত বিনতে রেজার দুই সন্তান। মেয়ের বয়স ১১ মাস। ছেলে ৩ বছর ১১ মাস বয়সী। মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে গত বছর অক্টোবরে তিনি কাজে যোগ দেন। এখন অনলাইনে তাঁকে ক্লাস নিতে হয়, পাশাপাশি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে পালা করে দায়িত্ব পালন করতে হয়। ডা. ইশরাত বলেন, ‘করোনা ওয়ার্ড থেকে ফিরে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সাহস পাইনি। তাই তাকে বাজার থেকে কেনা প্রক্রিয়াজাত দুধ দিতে বাধ্য হই।’ তিনি আরও বলেন, যেসব দিনে করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্ব পড়ে, সেদিন বাচ্চারা রাতে তাদের বাবার সঙ্গে ঘুমায়। করোনা নিয়ে শঙ্কায় তিনি বাচ্চাদের থেকে দূরে থাকেন।
এসএফ