।।রাজকথন প্রতিবেদন।।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে এত ‘হেফাজত’ এলো কীভাবে! ‘পরনারী’ নিয়ে ধরাপড়া হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের পক্ষে সাফাই গেয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে এমন প্রশ্ন ওঠে। শুধু তাই নয়, ছাত্রলীগের আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংগঠন থেকে পদত্যাগও করেছেন কয়েকজন নেতা। এমতাবস্থায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন- এমন কয়েকজন নেতাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগের এক নেতা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তাদের দল হেফাজতকে সম্মান দিতে জানেন না।’ তিনি ছাড়া আরো কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা ফেসবুকে হেফাজতের পক্ষে স্ট্যাটাস দেন। তারা লেখেন, -‘যে দল ইসলামকে সম্মান দিতে জানে না, যারা ভাস্কর্যকে হালাল মনে করে, মুসলমানদের ওপর হামলাকারীকে দেশে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানায়- সেই দলে কোনো মুসলমান থাকতে পারে না।’ বহিষ্কার ছাড়া অনেকটাই নিশ্চুপ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ছাত্রলীগের পতাকার নিচে স্থান দেয়ার সময় যদি ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হতো, তাহলে এমন হতো না। তারা আরো বলেছেন, ‘সংগঠনের মূল নেতাদের কর্মকাণ্ডের ফলও বলতে পারেন। রাত-দিন কাজ করে যদি কমিটিতে স্থান না পাওয়া যায়, তখন তো ত্যাগীরা সংগঠনবিমুখী হবেই। আর হাইব্রিডরা পদ বহন করবে। কিন্তু তাণ্ডবের সময় মাঠে থাকবে না।’
এসএফ