এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার (৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা) সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি কাটিয়ে উঠতে বাজেট সহায়তা হিসেবে এ অর্থ কাজে লাগানো হবে। সম্প্রতি এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়াকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
চিঠিতে এ অর্থ সামাজিক সুরক্ষা এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তায় ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজন মেটানো হবে স্বাস্থ্য খাতের। চিঠিতে সামাজিক উন্নয়নে ধারাবাহিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়।
অর্থমন্ত্রীর চিঠিতে বলা হয়েছে, দুই ভাগে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে করোনায় সামাজিক প্রত্যাবাসনে। বাকি অর্থ ব্যয় করা হবে বাংলাদেশ উন্নয়নে সংস্কারমূলক কাজে।
এর আগে গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংক করোনার টিকা কেনাসহ করোনা মোকাবিলায় ৮ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা বা ১০৫ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার জন্য চুক্তি করেছে সরকারের সঙ্গে। করোনার প্রভাব মারাত্মকভাবে সামাজিক ও অর্থনীতিতে পড়েছে। সম্প্রতি যোগ হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।
অর্থমন্ত্রী চিঠিতে বলেছেন, অর্থনীতির অবস্থা ভালো ছিল। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৮ দমমিক ১৫ শতাংশ। কিন্তু করোনার কারণে প্রবৃদ্ধি কমিয়ে আনা হয় ৫ দশমিক ২ শতাংশে। তিনি বলেছেন, করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী পণ্যের চাহিদা কমেছে। এতে বাংলাদেশের রফতানিতে নেতিবাচক অবস্থা তৈরি হয়েছে।
এর মধ্যে দেশের ১৫০টি উপজেলায় বসবাসকারী সব বয়স্ক ও বিধবাদের ভাতার আওতায় আনা হবে। এছাড়া কিছু সংস্কারমূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে নানা ধরনের সংস্কার করা হবে।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সম্মুখভাগের কর্মীদের (চিকিৎসা কর্মী, সিভিল প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্রদানকারী, কোভিড-১৯ এর কারণে চাকরি হারানো দেশি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অতি-ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প খাতের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে সহায়তা করা হবে।