।।জেলা প্রতিবেদক নাটোর।।
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পশ্চিমাধনগর গ্রামের যুবক আল আমীন। রাজশাহী কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স শেষ করেছেন। শুরুতে কৃষিকাজে খুব একটা আগ্রহ না থাকলেও নতুন কিছু করার চিন্তা করতেন সবসময়। কর্মজীবনে প্রবেশের পর কৃষিক্ষেত্রে নতুন কিছু করার চিন্তা করতে থাকেন। এ জন্য তিনি ইউটিউবে কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন ভিডিও দেখতেন। এরমধ্যে একদিন হঠাৎ তার চোখে পড়ে নিউটন কচু চাষ পদ্ধতি। তিনি সেটি ভালো করে দেখেন এবং মনস্থির করেন কচু নিয়েই তিনি প্রথম চাষাবাদ শুরু করবেন। যেই ভাবনা সেই কাজ। ছেড়ে দেন চাকরি। শুরু করেন কচু চাষ। তারপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
১৬ শতাংশ জমিতে শুরু করেন কচুর চাষ। ইতোমধ্যে কচুর লতি বিক্রিও শুরু করেছেন। স্থানীয় ও জেলার বাইরের ব্যবসায়ীরা তার কাছ থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন লতি। ১৬ শতাংশ জমিতে নিউটন কচু চাষ করতে আল-আমীনের খরচ হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার টাকা। এখান থেকে খরচ বাদে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। মাত্র পাঁচ মাসে ভিন্ন জাতের এ কচু চাষ দেখে উপজেলার অন্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। জানা গেছে, এরই মধ্যে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার নিউটন কচু। অধিক লাভজনক এই কচু চাষের দিকে ঝুঁকছেন উপজেলার কৃষকরা। এটি মূলত লবণাক্ত অঞ্চলের ফসল হলেও বর্তমানে উপজেলার কৃষকদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এই কচু চাষ করে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে অধিক মুনাফা অর্জন করাও সম্ভব।
এসএফ