বাঙালি কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের এক শ’তম জন্মদিন আজ। বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে নাটক, সাহিত্য, চিত্রকলা এমনকি সংগীতের সাথেও তিনি মিশে ছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থানে যিনি অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন তিনি সত্যজিৎ।
বিখ্যাত রায় পরিবারে ১৯২১ সালের ২মে তার জন্ম।সেই সময় বাব সুকুমার রায় এবং পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী দুজনেই ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলা তাঁর পৈতৃক নিবাস।
২৮টি ফিচার ও ৮টি ছোট দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র ও শর্ট ফিল্ম তার দীর্ঘ ৪২ বছরের ফিল্ম কেরিয়ারের ফসল। শুধু এটুকুতেই তার কাজের পরিমাপ করা যাবে না। সত্যজিতের কাজের প্রকৃত মূল্যায়ন তার ছবির বিশাল ব্যাপ্তিতে।
সত্যজিৎ রায় ১৯৫২ সালে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘পথের পাঁচালি’ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। মুক্তি পাওয়ার পর ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরবর্তীতে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প-উপন্যাস অবলম্বনে ‘অপরাজিত’ ও ‘অপুর সংসার’ নামে আরো দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এ তিনটি চলচ্চিত্র অপু ট্রিলজি হিসেবেই পরিচিত।
সত্যজিৎ রায়ের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘তিন কন্যা’ (১৯৬১), ‘চারুলতা’ (১৯৬৪), ‘নায়ক’ (১৯৬৬), ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ (১৯৭০), ‘সীমাবদ্ধ’ (১৯৭১) ‘জন অরণ্য’ (১৯৭৫) ‘গণশত্রু’ (১৯৮৯), ‘শাখাপ্রশাখা’ (১৯৯০) ও ‘আগন্তুক’ (১৯৯১)। সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র ‘ফেলুদা’ ও ‘প্রফেসর শঙ্কু’।
১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল এই খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃত্যুবরণ করেন।