পণ্য রপ্তানিতে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বাংলাদেশ। গত মাসে ৩১৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ৫০২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি।
করোনার কারণে গত বছরের এপ্রিলে তিন সপ্তাহের মতো বন্ধ ছিল কলকারখানা। সে কারণে রপ্তানি কমে যায়। এবছর করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তবে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানার উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। তাই রপ্তানিতে এখন পর্যন্ত নেতিবাচক কোন প্রভাব পড়েনি। যেহেতু গত বছরের এপ্রিলে রপ্তানি কমে গিয়েছিল, তাই এবার প্রবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া। যদিও ২০১৯ সালের এপ্রিলে ৩০৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। তার তুলনায় গত মাসে রপ্তানি বেড়েছে ১ দশমিক ৬২ শতাংশ।
সার্বিকভাবে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৩ হাজার ২০৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি।
চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে নিট পোশাকের রপ্তানি ১৫ শতাংশ বাড়লেও ওভেন পোশাকের রপ্তানি কমেছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ।
চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে ১০৩ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া ৯৫ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ৫৪ শতাংশের বেশি। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ৭৬ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়া পণ্য, ৪৩ কোটি ডলারের প্রকৌশল পণ্য, ৩৯ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে চামড়া ও চামড়া পণ্যে সাড়ে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।