উপজেলা প্রতিবেদক, ধুনট (বগুড়া)
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এসিড মামলার আসামী বাদশা মিয়ার বাড়ির খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে ওই মামলার বাদী ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আসামী পক্ষের লোকজন এসিড মামলার ভিকটিম রিপা খাতুনকে (৩৫) ঘটনাস্থল থেকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরের দিকে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় রিপা খাতুনকে গ্রেফতার দেখিয়ে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিপা খাতুন উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের চিথুলিয়া গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী।
জানা গেছে, উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী আবু তাহেরের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ২০২০ সালের ১৭ জুন দুপুরের দিকে আবু তাহেরের স্ত্রী রিপা খাতুন বাড়ির ভেতর লাকড়ি গোছানোর কাজ করছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা ঘরের বেড়ার ফাঁকা স্থান দিয়ে রিপার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেন। এতে রিপার পিঠের ৪০ শতাংশ পুড়ে ঝলসে যায়।
ওই ঘটনায় রিপার স্বামী আবু তাহের বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাদশা মিয়া সহ ৪জনকে আসামী করা হয়। এ মামলাটি তদন্ত করে বগুড়া আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) রুহুল আমীন খান।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ওই মামলার আসামী বাদশা মিয়ার বাড়ির আঙ্গিনায় খড়ের গাদায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে রিপা খাতুনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন বাদশা মিয়ার স্বজনরা। পরে বাদশা মিয়ার ছেলে আইয়ুব আলী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আবু তাহের, তার স্ত্রী রিপা খাতুন ও ছেলে পাপ্পুকে আসামী করা হয়েছে।
থানা হাজতে আটক রিপা খাতুন দাবি করেছেন, এসিড মামলা থেকে রক্ষা পেতে আসামীরা খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগের নাটক সাজিয়ে তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
ধুনট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শামীম রেজা জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। অগ্নকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা ও অভিযোগের জের ধরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।