বিশ্বের সব উন্নত দেশে ক্রেডিট কার্ড এখন বহুল প্রচলিত একটি আর্থিক পণ্য। নগদ টাকার বিকল্প হয়ে ওঠায় এ কার্ডকে প্লাস্টিক মানিও বলা হয়ে থাকে। এখন দেশে-বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে হোটেল বুকিং, থাকা–খাওয়া, ভ্রমণ, বিমানভাড়া, রেস্টুরেন্ট ও কেনাকাটার বিল পরিশোধে মিলছে নানা ছাড় ও পয়েন্ট জেতার সুযোগ।
মধ্যম সারির একজন কর্মকর্তা রাফিউল হোসেন। তিনি প্রায় ১০ বছর যাবৎ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আসছেন। তিনি কার্ড দিয়ে সকল প্রকার কেনাকাটা বা খরচ করে থাকেন। এভাবে কার্ডে অতিরিক্ত যে খরচ হয় তা তিনি নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যে শোধ করে দেন এত করে তাকে বাড়তি কোন সুদ দিতে হয়না। সে জন্য ক্রেডিট কার্ডকে তিনি বিনা সুদে টাকা ধার পাওয়ার সুবিধা বলে মনে করেন।
প্রতি দেড় মাস পর কেনাকাটা মানে খরচের টাকা পরিশোধ করলে কোনো সুদ দিতে হয় না। সে জন্য পৃথিবীজুড়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ক্রেডিট কার্ড । বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে । বর্তমানে দেশে প্রায় ১৭ লাখ ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে প্রতি মাসে দেড় হাজার কোটি টাকার মতো লেনদেন হচ্ছে।
তবে বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার রাজাধানী এবং বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
বাংলাদেশে ১৯৯৭ সালে তৎকালীন এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক (বর্তমানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড) প্রথম ক্রেডিট কার্ড সেবা নিয়ে আসে। কাছাকাছি সময়ে তৎকালীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভনিক বাংলাদেশ (এখন লংকাবাংলা ফাইন্যান্স) ও ন্যাশনাল ব্যাংক সেবাটি চালু করে। এরপর এক এক করে অন্য ব্যাংকগুলোও এ সেবায় মনোযোগী হয়।বর্তমানে দেশে ৪০টির মতো ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবা দিচ্ছে।
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকেরা নির্দিষ্ট পরিমাণ কেনাকাটা ও ঋণ নিতে পারেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এ দেশের কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে বিদেশেও। তাই টাকার পাশাপাশি ডলারেও ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে। এর ওপর সময়মতো কার্ডের টাকা পরিশোধ করলে কোনো সুদ দিতে হয় না।