||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকতার সঙ্গে দেশের সেবা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে নবীন সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অনেক রক্ত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। কষ্টার্জিত এই স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করা তোমাদের পবিত্র দায়িত্ব।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮১তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স সমাপনী রাষ্ট্রপতি প্যারেডে তিনি আরো বলেন, আজকের এই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তোমাদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশমাতৃকার মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে তোমাদের পেশাগত জীবনের প্রধান ব্রত।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিস্থ বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) মূল আয়োজনে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে পাসিং আউট ক্যাডেটদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালেই প্রণয়ন করেন আমাদের ‘প্রতিরক্ষা নীতি’। আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতা প্রণীত সুদূর প্রসারী প্রতিরক্ষা নীতির আলোকেই সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডে নারীর অংশীদারত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীতে ২০০০ সালে সর্বপ্রথম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে নারী অফিসার নিয়োগ এবং ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম নারী সৈনিক ভর্তির যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তিনি পাসিং আউট ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকের দিনটি তোমাদের জীবনে অত্যন্ত আনন্দের এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির জন্য আজ একটি স্মরণীয় দিন।
এসএ//এফএস