।।ডক্টরস চেম্বার প্রতিবেদন।।
করোনার ভ্যাকসিনের ইমিউনিটি কতদিন থাকবে বিষয়টি এখনো এই নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। অনেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডির ইমিউনিটি থাকবে ছয় মাস থেকে এক বছর। আবার অনেকে বলছে, কয়েক বছর থেকে যাবে ইমিউনিটি। কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তার উপরেও নির্ভর করে অনেক কিছু।
করোনার টিকা দেওয়া কতটা জরুরি? অল্প বয়স্ক এবং বয়স্ক দুইয়ের জন্য করোনা টিকা অনেক সংবেদনশীল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর অর্থ এই নয় যে মধ্যবয়স্কদের করোনা টিকা নেওয়া জরুরি না। করোনা নিয়ে আমাদের মনে যে ভয় তা টিকার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। করোনা টিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে? কিছুদিন আগে টিকা তৈরি হওয়ায় এখন পর্যন্ত এমন কোন প্রমাণ মেলেনি করোনা টিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম কী না। তবে অনেক গবেষকরা বলেছেন করোনা টিকা রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।
গবেষণা: রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের একটি নতুন প্রতিবেদনে চার হাজার ভ্যাকসিন স্বাস্থ্যসেবা এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীদের তথ্য অনুসন্ধান করা হয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মর্ডানার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ৮০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজ ৯০ শতাংশ কার্যকর। যাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তাদের অন্যদের থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কম।
কতদিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে? ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনগুলোর তিন ধাপের পরীক্ষায় জড়িত গবেষকরা বলেছেন যে টিকা দেওয়া মানুষের কমপক্ষে ৬ মাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকবে। সিডিসির তালিকাভুক্ত অসুস্থ ব্যক্তিদের উপর এটি শতভাগ কার্যকর এবং এফডিএর তালিকাভুক্তদের ক্ষেত্রে ৯৫.৩ ভাগ। তাছাড়াও ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনটি দক্ষিণ আফ্রিকায়ও কার্যকর বলে জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা শুধুমাত্র ভ্যাকসিনের উপর নির্ভর করতে পারি না। ভ্যাকসিনের পাশাপাশি মাস্ক পরা এবং দূরত্ব মেনে চলাও অনেক জরুরি।