||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে সিল মারার ঘটনায় প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল ভোট গ্রহণ। রবিবার উত্তর চর পুখিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সকালে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রথমে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আ. খালেক সরকারের সমর্থকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে কেন্দ্রে হামলা চালান। বুথে গিয়ে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেন এবং প্রকাশ্যে সিল মারতে থাকেন। দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমানের সমর্থকেরা প্রতিরোধ করতে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এ অবস্থায় ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
নৌকায় সিল মারা হচ্ছে, খবর পেয়ে কেন্দ্রটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়া এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। সকাল ১০টার কিছু পর থেকে আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়া বলেন, ‘ঝামেলার খবর পেয়ে কেন্দ্রে যাই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসি। আমার উপস্থিতিতেই আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়।’
বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সকাল থেকে কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় ছিলেন নৌকার সমর্থকেরা। আমরাও প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারছেন না।’
অভিযোগের বিষয়ে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আ. খালেক সরকার বলেন, কেন্দ্রটি থেকে তিনি সর্বোচ্চ ভোট পাবেন। এ সত্য বিদ্রোহী হাবিবুর রহমান সমর্থকদের জানা। সে কারণেই পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে স্বাভাবিক ভোট গ্রহণে বাধার সৃষ্টি করেছেন তাঁরা।
এসএ//এফএস