||বিদেশ-বিভূঁই প্রতিবেদন||
৪ শ’ বছরের ঔপনিবেশিকতার অবসান ঘটিয়ে রাণীকে সরানো হচ্ছে রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে।
প্রায় ৪’শ বছরের ঔপনিবেশিকতার অবসান হতে যাচ্ছে বারবাডোজে। সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটায় ব্রিটিশ রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দিতে যাচ্ছে বারবাডোজ। এরই মধ্যে রাজধানী ব্রিজটাউনে পৌঁছেছেন রাণীর ছেলে প্রিন্স চার্লস। এই সিদ্ধান্তকে আত্মবিশ্বাসের প্রতীক বলছে বারবাডোজ।

সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী, গভর্নর জেনারেলের মতো পদ রয়েছে। তা সত্ত্বেও, হেড অব স্টেট বা রাষ্ট্রপ্রধানের পদে ছিল ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথের নাম। প্রায় ৪০০ বছর আগে ক্যারিবীয় দ্বীপটিতে ইংরেজদের প্রথম জাহাজ যাওয়ার পর থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সঙ্গে তাদের যে সম্পর্ক, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে থাকা রাণীর নাম বাদ দেয়ার মাধ্যমে তার চূড়ান্ত অবসান ঘটতে যাচ্ছে। নিজেদের স্বাধীন ঘোষণার ৫৫ বছর পর প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত হচ্ছে বারবেডোজ।
বারবাডোজের সিনেটর রিভারেন্ড জন রোজার্স বলেন, এই দ্বীপের জনগণ কেবল স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করেনি, সংগ্রাম করেছে নিজেদেরকে ঔপনিবেশিক ও সাম্রাজ্যবাদীদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হতে।
তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারা ভাবছেন, এমন সিদ্ধান্তের ফলে ব্রিটেনে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের জন্য আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হতে পারে। কেউ কেউ মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এসএ//আরজে