||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
চাকরিজীবী ছেলে বা মেয়ে একে-অপরে কোনো চাকরিজীবীকে বিয়ে করতে পারবেন না-এমন প্রস্তাব জাতীয় সংসদে তুলেছেন বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু। শনিবার অধিবেশন চলাকালে বাবলুর এমন প্রস্তাবে হাসির রোল পড়ে যায় সংসদে। বগুড়া শাজাহানপুর-গাবতলী এলাকার এই সংসদস সদস্যের এমন প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গেই তা নাকচ করে দেন।
শনিবার (৪ সেপ্টেস্বর) জাতীয় সংসদে ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১’-এর সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে অপ্রাসঙ্গিক এমন প্রস্তাব করেন এমপি বাবলু। তার এ প্রস্তাবের সময় সংসদে হাসাহাসি শুরু হয়। বাবলু বলেন, ‘করোনার কারণে চার কোটি জনগোষ্ঠী বেকার হয়েছে। আমাদের দেশে প্রচলিত সামাজিক রেওয়াজ আছে। চাকরিজীবী কোনো পুরুষ, চাকরিজীবী নারীকে বিয়ে করতে চান। আবার চাকরিজীবী নারীও একজন চাকরিজীবী পুরুষকে বিয়ে করতে চান। এতে কিন্তু বেকার সমস্যার সমাধান হয় না। ’তিনি বলেন, ‘এখানে আইনমন্ত্রী আছেন, উনাকে নিবেদন করবো- এমন একটি আইন উনি সুবিধাজজনকভাবে করবেন যে, কোনো চাকরিজীবী নারী কোনো চাকরিজীবী পুরুষকে বিয়ে করতে পারবেন না। আর কোনো চাকরিজীবী পুরুষও কোনো চাকরিজীবী নারীকে বিয়ে করতে পারবেন না। তাহলে আমাদের বেকার সমস্যাটা অনেকাংশে লাঘব হবে। এ প্রস্তাবটি আমলে নিয়ে চার কোটি বেকারের কিছুটা হলেও লাঘব হবে। ’প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে এমপি বাবলু বলেন, ‘আমার প্রস্তাবের পেছনে আরো একটি কারণ আছে। যখন চাকরিজীবী দম্পত্তি অফিসে যান, তাদের শিশু সন্তানরা গৃহকর্মীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়।
বাবলুর প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সংসদ সদস্য বললেন ছেলে চাকরি করলে তাকে চাকরিজীবী মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেয়া যাবে না। এমন প্রস্তাব নিয়ে আমি এখান থেকে দু’কদমও হাঁটতে পারবো না। এটা অসাংবিধানিক প্রস্তাব। তিনি বলেন, কীভাবে এ প্রস্তাব জাতীয় সংসদে এলো বুঝতে পারলাম না। আমাদের বাকস্বাধীনতা রয়েছে। উনি যা খুশি তাই বলতে পারেন। কিন্তু আমি যা খুশি তাই গ্রহণ করতে পারবো না। কারণ আমি জনগণের প্রতিনিধি। পরে মন্ত্রী এমপি বাবলুর এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন সংসদে।