||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে একজন চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তার বাকবিতণ্ডার জেরে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে এই দুই পেশার দুই সংগঠন। পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগ তুলে সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএ। অন্যদিকে, একই অভিযোগ তুলে রোববারের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

বিএমএ’র সভাপতি ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং মহাসচিব ডাক্তার ইহতেশামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, চলমান করনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে সম্প্রতি প্রায়ই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক হয়রানি ও নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে। সর্বশেষ গেলো রোববার ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় ডাক্তার সাঈদা শওকত জেনীর গাড়ি আটকিয়ে পরিচয় জানতে চাওয়ার নামে তাকে নানানভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। চিঠিতে চিকিৎসক নেতারা সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।
এদিকে, সোমবার বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম এবং জায়েদুল আলম স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে পুলিশের তরফে বলা হয়, বৈশ্বিক অতিমারি করোনার সংক্রমণ রোধে রোববার মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ, হয়রানি ও অসহযোগিতার কিছু চিত্র গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে যা বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এর দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

ঘটনা পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, উক্ত স্থানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে চেকপোষ্ট চলাকালে জনৈক চিকিৎসককে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তিনি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন যা একজন পেশাদার ও সচেতন নাগরিকের কাছ থেকে কোনভাবেই কাম্য নয়।
তিনি শুধু ওই পুলিশ সদস্যদেরই অপমান করেননি, গোটা পুলিশ বাহিনীকেই কটাক্ষ ও হেয় প্রতিপন্ন করেছেন যা মিডিয়া চিত্রে প্রতীয়মান। শুধু তাই নয় তিনি নিজ পেশার পরিচয় বাদ দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক পরিচয় তুলে ধরে পুলিশ ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সামনে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন এবং জাতির সামনে পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা নিজ মন্ত্রণালয়ের বৈধ আদেশ লঙ্ঘন এবং কর্তব্যরত বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিকট উক্ত চিকিৎসক এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবিও জানান প্রতিবাদলিপিতে।
এমএইচ//