।। বঙ্গকথন প্রতিবেদন।।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ দেশে আঘাত না হানলেও এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী দুদিন ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। তবে ইয়াসের প্রভাবে গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে চলা অসহনীয় তাপপ্রবাহ কমেছে। বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা দু’দিন পর কমে যেতে পারে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের দিকে সরে যাওয়ায় সাগর ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। তবে পূর্ণিমার কারণে শঙ্কা রয়েই গেছে। সাগরে জোয়ারের উচ্চতা ৬ ফুটের বেশি বেড়ে গিয়ে বাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকছে পানি। এজন্য এখনও সমুদ্রবন্দর গুলোতে তোলা হয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত। এছাড়া ৪০ থেকে ৮০ কিমি বেগে দেশের অভ্যন্তরে ঝড়ো বা দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নদীবন্দর গুলোতেও দেওয়া হয়েছে দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত। কোথাও কোথাও এক নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেতও তোলা হয়েছে।
বুধবার ২৬ মে সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানান, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আরও ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বিকেল ৩ টা নাগাদ ডামরার উত্তর এবং বালাশারের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করে। এটি পরবর্তীতে আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে বর্তমানে উপকূলীয় উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের ওপর আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
এসএফ