জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ইউনিসেফ শিশুদের মানসিকতার সুন্দর বিকাশে কাজ করে আসছে। বিভিন্ন রকম চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করে থাকে তারা। তার মধ্যে একটি ইউনিসেফ ইনোসেন্টি চলচ্চিত্র উৎসবে। অনুষ্ঠানটি প্রতি বছর ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে অনুষ্ঠিত হয়।
‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১’-এও মনোনীত হয়েছে নির্মাতা সুমন রেজার শর্ট ফিল্ম ‘তিয়াস’। নির্মাতা সুমন ৩১ মে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা সুমন বলেন, ইউনিসেফের উৎসবটি বেশ মর্যাদাপূর্ণ। সেখানে ‘তিয়াস’র অংশ নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, এটা আমার জন্য দারুণ একটি ব্যাপার হতে যাচ্ছে। আমার চলচ্চিত্রের টিম ও সকল কলাকুশলীদের অভিনন্দন জানাই। আশা করছি এই উৎসবে সাফল্যের অংশগ্রহণ হবে আমাদের।’
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘তিয়াস’ সম্পের্কে জানতে চায়লে তিনি জানান, বহু বছর আগে সুমনের গ্রামে কয়েক বাড়ি মিলে একটি টিউবয়েল ছিল। তবে গোপনীয়তার কারণে সব টিউবওয়েল এখন ঘরের আঙিনায় চলে গেছে! সেখান থেকেই ‘তিয়াস’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের আইডিয়া মাথায় আসে সুমন রেজার।
আইডিয়া কাজে লাগিয়ে শর্টফিল্মটি বানিয়েও ফেলেন তিনি। নাম রেখেছেন ‘তিয়াস’। ১৫ মিনিটের এই ছবিটি এখন দেশের গণ্ডি ছেড়ে বিদেশেও প্রশংসিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক চলচিত্র জগতে বাংলাদেশের নাম তুলে ধরেছে স্বল্পদৈর্ঘ চলচিত্র ‘তিয়াস’।
তিয়াস’ – এ মুখ্য দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জামশেদ শামীম ও আসপিয়া ওহি। ‘পৃথিবীর তিন ভাগের দুই ভাগ পানি। কিন্তু খাওয়ার উপযোগী কতটুকু? আর সেটা কতটা নাগালের মধ্যে?’ এমন সংলাপ দিয়ে শুরু হয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি।
‘তিয়াস’ – এর আগে ‘বিয়ের গল্প’, ‘সন্তান’, ‘সিটি নাইট’, ‘আগুন’ নামে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও বানিয়েছেন সুমন।