‘আমি জলবায়ুর পক্ষে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ চেইঞ্জ মেকার

0 220

করোনাকালে প্রকৃতির কদর বেড়েছে অনেকাংশেই। তবে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে যুগ যুগ ধরে। প্রতিবছর ৫ জুন পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। পরিবেশ রক্ষার সচেতনতা এবং নতুন পদক্ষেপকে উৎসাহিত করতে জাতিসংঘ যথাযথ গুরুত্ব সহকারে পরিবেশ দিবস পালন করে।

দূষণের মধ্যেই প্রতিনিয়ত শ্বাস নিচ্ছি আমরা প্রত্যেকে। ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে পৃথিবী। দূষণ একটি স্লো পয়জনের মতো মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে মানবজাতিকে। তাই এখন প্রয়োজন পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানোর। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের হাতে যেটুকু ক্ষমতা আছে, তা দিয়েই প্রকৃতিকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করতে পারি।

৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস দিনটিকে কেন্দ্র করে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ চেঞ্জ মেকার সংগঠন এর উদ্দ্যগে বাংলাদেশের এগারোটি জেলায় ক্যাম্পেইন করা হয়। দেশের এগারো টি জেলায় থাকা প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবক মিলে প্রায় ৫০০ ও এর অধিক গাছ লাগিয়েছে এবং রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার “চলো বদলে যাই” শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫০টি গাছ বিতরণ করে।

জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির ঘোষণা অনুযায়ী ‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে এবং ‘প্রকৃতি সংরক্ষণ করি, প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করি’ স্লোগান কে সামনে রেখে এবারের পথচলা।

ইন্টারন্যাশনাল ই্যয়ুথ চেঞ্জ মেকার পথচলার শুরু থেকেই ক্লাইমেট চেইঞ্জ , ফরেষ্ট্রি, চাইল্ড রাইটস সহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) নিয়ে কাজ করে আসছে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ইন্টারন্যাশনাল ই্যয়ুথ চেঞ্জ মেকার এর কান্ট্রি কোওর্ডিনেটর লাবিবা সুলতানা বলেন, “করোনাভাইরাসের এই মহামারীর মধ্যে নিজ বাসায় থেকে সবুজ পৃথিবী গড়ার দারুণ একটি সময় তাই আমাদের প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃতি যেন কিছুটা প্রাণ ফিরে পায় এই দিকে খেয়াল রেখে নিজের বাসা বাড়ির ছাদে বেশী বেশী গাছ লাগানো। তার ইচ্ছে পৃথিবী একটি গাঢ় সবুজ গ্রহে পরিণত হোক”

ফাউন্ডার জুনায়েদ সজীব বলেন, “জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি সেই শুরু থেকে। ইন্টারন্যাশনাল ই্যয়ুথ চেঞ্জ মেকার এর বাংলাদেশে থাকা প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবক মিলে প্রকৃতি সবুজায়ন করার জন্য কাজ করছে। তারা ৫০০ টির অধিক গাছ লাগিয়েছে। সত্যিই অনেক ভালোলাগা কাজ করছে। এ ভাবে কাজ করলে একদিন সবুজে ঘিরে যাবে পৃথিবী। তিনি আরো বলেন এবারের জলবায়ু সম্মেলনে চারটি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে:

 ১. ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের মাত্রা ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনা। কারণ ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীব্যাপী কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ একেবারে শূন্যতে নামিয়ে আনতে হলে এটি করা জরুরি।

২. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে থাকবে সেগুলোর হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে।

৩. এসব কাজ করার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। সেজন্য প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল করার জন্য উন্নত দেশগুলোকে ভূমিকা রাখতে হবে।

৪. জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More