||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে যেভাবে আগুন লাগতে পারে, তা নিয়ে কথা বলেছেন লঞ্চটির মালিক ও কর্মীরা। কয়েকজন লঞ্চকর্মী মনে করছেন ইঞ্জিন কক্ষে অগ্নিকাণ্ড থেকে এমন বড় ঘটনা ঘটতে পারে । লঞ্চটির মালিক বলছেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তর থেকে অনুমতি না নিয়েই অক্টোবর মাসে ইঞ্জিন বদলানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সদরঘাট থেকে বরগুনার উদ্দেশে রওনা হয় এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটি। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুতই আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে যায়। ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪১ জন। প্রায় শতাধিক যাত্রী দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসায় আছেন। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন লঞ্চমালিক বলেন, বেশির ভাগ লঞ্চে রিকন্ডিশন্ড বা পুরোনো ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। এগুলো মূলত সমুদ্রগামী জাহাজের জেনারেটর ইঞ্জিন। ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিলেও তা না সারাতে পারলে প্রচুর তাপমাত্রা উৎপন্ন হয়।
এ ব্যাপারে অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ বলেন, আগের ইঞ্জিন দুটিতে ত্রুটি থাকায় গত অক্টোবর মাসে ইঞ্জিন বদলানো হয়। ডকইয়ার্ডে উঠিয়ে ৭২০ অশ্বক্ষমতার দুটি ইঞ্জিন লাগানো হয়।
এভাবে ইঞ্জিন লাগানো যায় কি না, জানতে চাইলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার মাহবুবুর রশিদ বলেন, লঞ্চের কাঠামোগত পরিবর্তন বা ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন পরিবর্তনের আগে আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর লঞ্চটিকে তীরে ভেড়াতে ৪৫ মিনিটের বেশি সময় লাগে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই লঞ্চটিকে তীরে ভেড়ানো সম্ভব হলে প্রাণহানি এড়ানো যেত বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এসএ//এফএস