বঙ্গকথন প্রতিবেদন
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ বহিষ্কৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী। রোববার দুপুর ১২টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে তাকে নেয়া হয় । বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হয়। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা জবানবন্দি গ্রহণ শেষে লিয়াকত আলীকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা কারাগারে।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ২৬ আগস্ট এপিবিএন সদস্য মো. আবদুল্লাহর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেওয়া হয়। জবানবন্দিতে তিনি জানান, ঘটনার দিন মনে হয়েছে ইন্সপেক্টর লিয়াকত শিকারের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি মারিশবুনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ক্যামেরাম্যান সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করে পুলিশ। পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রা দেবনাথকে আটক করা হয়। দুজনই এখন জামিনে মুক্ত। খুনের ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন পুলিশ সদস্য ও ৩ জন এপিবিএন সদস্য। বাকি ৩ জন পুলিশের মামলার সাক্ষী।