আদালত প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রামে যাবার পথে বাস থেকে ফেলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েলকে হত্যার দায়ে হানিফ পরিবহনের একটি বাসের চালক, হেলপার আর সুপারভাইজারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। ২০১৮ সালে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। মামলাটির বিচার হয়েছে চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পায়েলের মা কোহিনুর বেগম বলেন, ”আমাদের চাওয়া হলো রায়টা যেন দ্রুততম সময়ে শাস্তি কার্যকর হয়।”
২০১৮ সালের ২১শে জুলাই দুই বন্ধুর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল। দুইদিন পরে মুন্সীগঞ্জের একটি খাল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ।
এই ঘটনায় হানিফ পরিবহনের একটি বাসের চালক, সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করা হলে তারা হত্যাকাণ্ডে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিতে তারা বলেন, গজারিয়ার একটি স্থানে বাস যানজটে পড়লে টয়লেট করার জন্য পায়েল বাস থেকে নামেন। যানজট ছুটে গেলে বাসটি চলতে শুরু করলে পায়েল দৌড়ে উঠতে গিয়ে মারাত্মক আহত হন। সেই অবস্থায় তাকে বাসে না তুলে অভিযুক্তরা তাকে পাশের সেতু দিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। পায়েলের সঙ্গে থাকা বন্ধুদের জানানো হয়, তিনি পরের গাড়ীতে আসবেন। দুইদিন পর পায়েলের মৃতদেহ ভেসে ওঠে। পরবর্তীতে মৃতদেহের পকেটে পাওয়া মানিব্যাগে থাকা টেলিফোন নম্বরের সূত্র ধরে তার পরিচয় বেরিয়ে আসে।
পায়েলের মৃত্যুর পর তার মামা গোলাম সরোয়ার্দী বিপ্লব বাদী হয়ে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজারকে আসামি করে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের তেসরা অক্টোবর পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। প্রথমে মুন্সীগঞ্জে এই মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হলেও পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়। গত বছরের নভেম্বরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার বিচার শুরু হয়।