নাব্যতা সংকটে যমুনায় নৌযান চলাচল বন্ধ

0 450

||উপজেলা প্রতিবেদক, ধুনট (বগুড়া)||
ভয়াবহ নাব্যতা সংকটের মুখে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শহড়াবাড়ি নৌ-ঘাট থেকে অভ্যন্তরীন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে পণ্য ও যাত্রী পারাপারে বেকায়দায় পড়েছেন ঘাটের ইজারাদাররা। ঘাটে পানি কমে যাওয়া এবং নদীতে চর জেগে ওঠায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই ইজারার টাকা ওঠা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন ইজারাদাররা।

এলাকায় ঘাট সংশ্লিষ্ট বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধুনট উপজেলার শহড়াবাড়ী নৌকা ঘাট থেকে জামালপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে পারাপার চলে। এর মধ্যে রয়েছে যমুনার বিভিন্ন চরাঞ্চল এবং পাশের জামালপুর, সিরাজগঞ্জ জেলার জামতৈল, ধারা বর্ষা, মানিক দাইর, ডাকাতমারা, বোহাইল, মাঝিরা, শংকরপুর, নাটুয়ার পাড়া, তারাকান্দীসহ প্রায় ২০টি চরাঞ্চল।

এছাড়া যমুনার পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের মানুষের চলাচলেরও প্রধান পথ ওই দুটি নৌকা ঘাট। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যমুনা ফার্টিলাইজারের সার সহজে এবং কম খরচে বগুড়াসহ উরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় পরিবহণ হয় এই দুটি ঘাট দিয়ে। জেলা পরিষদ থেকে বার্ষিক ইজারা নিয়ে ইজারাদাররা নৌকায় লোকজন পারাপার করে।

উপজেলার একাধিক সার ডিলার বলেন, যমুনা সার কারখানার বরাদ্দের সার আমরা নদী পথেই নিয়ে আসি, কারণ এতে খরচ ও সময় দুটিই কম হয়। সামনে ইরি-বোরো চাষ হবে। ঘাট অচল হলে শতাধিক কিলোমিটার ঘুরে ট্রাকে আনতে হবে। এই উপজেলার শহড়াবাড়ী নৌ-বন্দরে কথা হলো সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার শংকরপুর চরের যাত্রী মকবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঘাট থেকে দুই দফা নৌকা বদল করে এবং বালির পথ হেঁটে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অনেক পথ ঘুড়ে আসতে হলো। চর জেগে ওঠায় এবং ঘাটের পানি কমে যাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার শহড়াবাড়ী নৌকা ঘাটের ইজারাদার হযতর আলী বলেন, ১৮ লাখ টাকায় এক বছরের জন্য ইজারা নিয়েছি। ঘাটে পানি কমে যাওয়া এবং চর জেগে ওঠায় দুই দফা নৌকা বদল করে যাত্রীদের পৌঁছে দিতে হচ্ছে। অনেক পথ ঘুরে অধিক সময়ে যাত্রী পারাপার করতে হচ্ছে। প্রায় অচল হওয়ার পথে নৌকা ঘাট। এতেও ইজারার টাকা উঠবে কিনা সন্দেহ। তিনি আরও বলেন, যমুনার পূর্বপাড়ে যমুনা সার কারখানা। সেখান থেকে নৌকায় কম খরচ এবং কম সময়ে শহড়াবাড়ী ঘাটে আনা হয়। সেখান থেকে ট্রাকযোগে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছানো হয়। এছাড়া খুচরা ব্যবসায়ীরা এই ঘাট দিয়ে সার আনা-নেওয়া করে থাকে। এখন সার পারাপার বন্ধ রয়েছে। ঘাট সংস্কার ও যাতায়তের উপযোগী করার দাবি জানান তিনি।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More