||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের তিন কোটি ও গ্যাভির ছয় কোটি ৮০ লাখসহ মোট নয় কোটি ৮০ লাখ করোনার ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এসব ভ্যাকসিনের দাম হবে দুই থেকে ছয় ডলার বা দুই থেকে ৫শ টাকা।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনে ‘কোভিড-১৯ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ’ সভা শেষে একথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন ‘ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশকে করোনা তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেবে। টিকাগুলো আনলেই হবে না, এগুলো মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করতে হবে। কোল্ড চেইন মেনটেইন করে আনতে হবে। বেক্সিমকোর সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা মাঠ পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য জেলায় পর্যন্ত সরবরাহ করবে। ’
এমএনসি অ্যান্ড এএইচ লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন, সারা পৃথিবীতে অনেক প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। যে ভ্যাকসিন আগে পাওয়া যাবে সেটাই আমরা নেবো। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে গ্যাভি ও কোভ্যাক্সের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরে গ্যাভির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। গ্যাভি ছয় কোটি ৮০ লাখ ভ্যাকসিন দেবে। এ ভ্যাকসিন দিয়ে প্রতি দুই ডোজ একজন হিসেবে তিন কোটি ৪০ লাখ মানুষকে দেওয়া যাবে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে।
তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিনের দাম পড়বে ১ দশমিক ৬ থেকে দুই ডলার (১ ডলার সমান ৮৫ টাকা)। আমরা একটা জাতীয় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। এ পরিকল্পনা আগামী দু-একদিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।