উপজেলা প্রতিবেদক, ধুনট (বগুড়া)
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ছিনতাই মামলায় মাসুদ রানা (২৮) নামে পুলিশের এক ‘সোর্স’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাসুদ উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা সদর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ তালুকদার দীর্ঘদিন ধরে গোবিন্দপুর বাজারে বিকাশ, রকেট, শিওর ক্যাশ, নগদ ও ফেক্সিলোডের ব্যবসা করেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম পিয়াস টেলিকম। অন্যান্য দিনের ন্যায় ১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ টাকা, স্ক্র্যাচ কার্ড ও সিম কার্ড একটি ব্যাগের ভেতর নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হন।
পথিমধ্যে বাড়ির অদুরে রাস্তায় পৌছলে মাসুদ রানা ও তার সহযোগিতরা আব্দুল মজিদকে পিটিয়ে আহত করে তার নিকট থেকে ব্যাগ ভর্তি ৩ লাখ টাকা, ২৫ হাজার টাকা মূল্যের স্ক্র্যাচ কার্ড ও ২ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের ১১টি সিম কার্ডসহ ৩ লাখ ২৭ হাজার ২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আব্দুল মজিদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় আব্দুল মজিদের ছেলে প্যারিস তালুকদার পরদিন রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। থানা পুলিশ অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরী হিসেবে রেকর্ড করে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মাসুদ রানাকে আটক করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ মাসুদ রানা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় পুলিশের ‘সোর্স’ হিসেবে কাজ করেন। তিনি পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ছিনতাইয়ের ঘটনার পর মাসুদ রানা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার বর্মন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়ায় মাসুদ রানাকে ছিনতাই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে আর কে কে জড়িত আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।