||যাপিত জীবন প্রতিবেদন||
পেঁপে বারমাসি ফল। সাধারণত গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, ব্রণ ও ত্বকের দাগ দূর করাসহ নানা উপকারে আমরা পেঁপে খেয়ে থাকি। তবে কাঁচা পেঁপে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়। বর্তমানে কাঁচা পেঁপে আমরা অনেক উপায়ে খেতে পারি। কাঁচা পেঁপের শুধু যে তরকারি খেতে হবে তেমনটি আর নেই। কাঁচা পেঁপের তরকারির সাথে সাথে আমরা এর সালাদও খেতে পারি, যা অসম্ভব সুস্বাদু খেতে।
নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খাওয়ায় রয়েছে যেসব উপকারিতা-
কাঁচা পেঁপে শরীরে জমে থাকা সোডিয়াম দূর করতে কার্যকারী, সোডিয়াম হৃৎপিণ্ডের রোগের বড় কারণ। এছাড়া কাঁচা পেঁপে শরীরে রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক রাখে।
প্রতিদিন কাঁচা পেঁপে খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।
কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে হৃৎপিণ্ডে যেকোনও সমস্যার সমাধান। কারণ, কাঁচা পেঁপেতে নানা রকম প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে। যার মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য এনজাইম হচ্ছে- সাইমোপ্যাপিন ও প্যাপিন। এ দুটি এনজাইম প্রোটিন চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে সহায়তা করে।

কাঁচা পেঁপে রক্তের সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। কাঁচা পেঁপেতে থাকা আঁশ ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি বা অম্লতা, পাইলস ও ডায়রিয়া দূর করতে পারে। মানুষের শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে কাঁচা পেঁপে দারুণ কার্যকর।
নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। বিশেষত ব্রণ ও ত্বকের ওপর নানা দাগ দূর করতে এর জুড়ি নেই। প্রতিদিন সকালে ২-৩ ফোঁটা পেঁপের আঠা পানিতে মিশিয়ে খেতে পারলে ক্ষুধামন্দাও দূর হয়। হজমশক্তিও বৃদ্ধি পায়।
দুপুর ও রাতের খাবারের পর এক ফালি কাঁচা পেঁপে ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলে সকাল পেট পরিষ্কার থাকে।
যাদের গ্যাস্ট্রিক ও বদহজমের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন।