||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তির চাপ সইতে না পেরে বগুড়ায় স্ত্রী ও শিশুকন্যাসহ অ্যালুমিনিয়াম ফসফেট বা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেছে মহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার রাতে বিষাক্ত এই ট্যাবলেট সেবনের পর বুধবার বিকেলে হাসপাতালে মারা গেছেন তার অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রী। কন্যাসহ তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন শঙ্কাজনক অবস্থায়।
স্থানীয়রা জানান, শহরের নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা লেদ শ্রমিক মহিদুল ইসলাম কয়েকমাস আগে কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এলাকায় মুদি দোকানের ব্যবসা শুরু করেন। শুরুর দিকে ঋণের কিস্তি দিতে পারলেও ব্যবসা মন্দা হওয়ায় মাসখানেক ধরে কোনো এনজিওতেই কিস্তির টাকা দিতে পারছিলেন না তিনি। মঙ্গলবারও কিস্তি আদায়ের জন্য দুই এনজিওর মাঠকর্মী সন্ধ্যা পর্যন্ত তার বাসায় অবস্থান করে। এনিয়ে রাতে স্ত্রীর সাথে বাকতিবতণ্ডার একপর্যায়ে আত্মহননের জন্য মহিদুল বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন। পাশাপাশি তা সেবন করান তিন মাসের অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রী বুলবুলি ও ৫ বছর বয়সী কন্যা মেঘলাকে। পরে প্রতিবেশীরা টের পেয়ে রাতেই তাদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মেডিকেল সংলগ্ন ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আবদুল আজিজ মণ্ডল জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেলে মহিদুলের স্ত্রী বুলবুলি মারা গেছেন। মহিদুল ও তার কন্যা আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে হাসপাতালে।
এমএইচ//