||উপজেলা প্রতিবেদক, কাহালু (বগুড়া)||
বগুড়ার সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবদুল হামিদকে কাহালুতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার এরুইল এলাকায় তাকে দাফন করা হয়। বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ (৮০) বুধবার দিবাগত রাতে বার্ধক্যজনিত কারণো নিজ বাড়িতে মারা যান।
বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর এরুইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই বীরমুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেয় কাহালু থানা পুলিশের সদস্যরা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাছুদুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিদওয়ানুর রহমান ও কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম। রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো শেষে এই মুক্তিযোদ্ধার জানাজার নামাজে অংশ নেন উপজেলা চেয়ারম্যান আল হাসিবুল হাসান সুরুজ এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
অধ্যাপক আবদুল হামিদ ৪ পুত্র এবং এক কন্যার জনক। তার বড় পুত্র আবদুল হাকিম অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরের জন আবদুল হালিম রাজশাহী ওয়াসার সচিব, পরের জন আবদুল হাই মিল্টন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়ার সহকারী সচিব এবং ছোটপুত্র আবদুল হান্নান লিঙ্কন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ। এই মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র কন্যা ফ্লোরা নাসরিন অঘোর মালঞ্চা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।